বিচ্ছেদ

অন্ধকার (জুন ২০১৩)

ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত
  • ২১
রাত ন’টা বাজে প্রায়। নভেম্বরের শেষ, কদিন ধরে রাতের দিকে ঠান্ডাটা বেশ ভালই পড়ছে। তার মধ্যে অসময়ের বৃষ্টি, সেই সন্ধ্যে থেকে ঝিরঝির করে পড়েই চলেছে একঘেঁয়েভাবে। অফিস থেকে বেরতে আজ বেশ রাত হয়ে গেল। শীতকালে এমনিতেই রাস্তাঘাট যেন একটু তাড়াতাড়িই ফাঁকা হয়ে যায়, তার ওপর এই বৃষ্টি। বন্ধ দোকানের সরু শেডটার নিচে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য ওয়েট করতে করতে হাতঘড়ির দিকে তাকাল রুমি। বাবাইয়ের জ্বরটা আজ বিকেল থেকে আবার বেড়েছে, একটু আগেই ফোন করে জানাল মা। ভাল লাগছে না, কিচ্ছু ভাল লাগছে না। একদিকে অফিসে কাজের চাপ, অন্যদিকে সংসারের হাজারটা ঝক্কি, তার ওপর ক’দিন ধরে দুপুরের পর থেকে বাবাইয়ের একটা ঘুসঘুসে জ্বর আসছে। মন-মেজাজ একদম ভাল নেই রুমির। ২০ মিনিট ধরে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে একটাও বাসের দেখা নেই, ট্যাক্সিও নেই একটাও। একরাশ বিরক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একটু বোধহয় অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিল রুমি। হঠাৎ করে একটা গাড়ি এসে সামনে দাঁড়াতে চমকে তাকাল। পরিচিত একটা মুখ ভেসে উঠল চোখের সামনে, অনেক অনেক দিন পরে, ‘উঠে এস রুমি, নামিয়ে দিচ্ছি’। অপ্রস্তুত ভাবটা কাটিয়ে উঠে রুমি বলে ফেলল, ‘থ্যাঙ্কস,এখুনি বাস চলে আসবে’। পরিচিত মুখটা কিছুক্ষনের জন্য নিরব, রুমির দৃঢ়তায় কিছুটা থমকে গেল হয়ত। পরক্ষনেই গাড়ির দরজা খুলে বেড়িয়ে এল গোটা শরীরটা। ফুটপাথে উঠে এসে সটান রুমির সামনে, ‘অনেক রাত হয়ে গেছে, জায়গাটাও ভাল না, আমি তো ওদিকেই যাচ্ছি। উঠে এসো, নামিয়ে দিচ্ছি’। এবার কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত রুমি। এত সহজ একটা প্রস্তাবে মুখের ওপর ‘না’ বলতে কেমন যেন অসুবিধা হল। সম্পর্ক না থাকলেও অর্ক পূর্বপরিচিত তো বটে, আর কোন তিক্ততাও তো অবশিষ্ট নেই এখন। এখান থেকে বাড়ি যেতে বড়জোর আধ ঘন্টা, একদিন একসাথে এইটুকু রাস্তা যাওয়া যেতেই পারে। অর্ক বোধহয় টের পেয়ে গেছে রুমির মনের দোলাচল, সেটা কাটানোর জন্যই আবার বলে উঠল,’প্লিজ উঠে এস’। আর না করার অবকাশ পেল না রুমি, অর্ক গাড়ির দরজা ধরে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়িতে উঠে বসল রুমি, গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দিল আবার।


একটা একটা করে ক্রসিং পেরিয়ে গাড়ি ছুটে চলেছে। রাস্তা আজ বেশ ফাঁকা। হাতঘড়ির দিকে তাকাল রুমি, ৯.১৫ বাজে, আর ২০ মিনিট মত লাগবে বোধহয়। গাড়ির ভেতরটা ভাল করে দেখল রুমি, আগের সেই স্যান্ট্রোটাই, কভারগুলো শুধু পাল্টানো হয়েছে, বাকি সব আগের মতই আছে। ওরা দু’জন একসাথেই তো নিয়ে এসেছিল গাড়িটা, সেদিন রাতে বাবাইকে নিয়ে বাইরে খাওয়াদাওয়া করে celebrate করা হয়েছিল দিনটা। হঠাৎ করে এতদিন পরে দিনটা মনে পড়ার কোন মানেই হয়না। তবু, অনেক কিছুই তো নিয়মের বাইরেও হয়ে যায় অনেকসময়ে।

অর্কই প্রথম কথা বলল, ’কেমন আছো?’

-‘এই চলে যাচ্ছে। তোমার খবর কি”

-‘খারাপ কি, ভালই আছি। বাবাই কেমন আছে?’

একটু ভেবে নিল রুমি, বাবাইয়ের জ্বরের খবরটা জানাবে কি? না!, কি দরকার। কি করবে জেনে! ছেলের জন্য উতলা হওয়ার মত বাবা তো অর্ক কোনকালেই ছিল না। ছোট উত্তর দিল রুমি, ‘ভালই আছে’।

আবার নৈঃশব্দ। গাড়ির চারদেওয়ালের ঘেরাটোপের মধ্যে এই নৈঃশব্দ বড়ই অস্বস্তিকর। তার চেয়ে সাধারন কথাবার্তা চলতে থাকলে সময়টা একটু তাড়াতাড়ি কাটে। রুমিই কথা বলল আবার, ‘এখনও ওই ফ্ল্যাটেই আছো, না কি পাল্টেছো?’

‘নাহ, ওখানেই তো আছি, দেখি বাইরে যাওয়ার কথা চলছে। যদি যেতে হয় তাহলে এখানকার পাট উঠিয়ে একেবারেই চলে যাব’।

-‘কোথায়?’
-‘দিল্লী’।

-‘তোমার মা’কেও নিয়ে যাবে তাহলে’। ‘তোমার মা’ কথাটা বলেই বড্ড কানে লাগল রুমির নিজেরই। একটা সম্পর্কের সাথে অন্য সম্পর্কগুলোও কি এভাবে শেষ হয়ে যায়! এও কি কখনও সম্ভব! তাড়াতাড়ি বলে উঠল রুমি, -‘মা কেমন আছেন?’

অর্ক কোন কথা বলছে না দেখে ফিরে তাকাল রুমি।

-‘মা আর নেই রুমি’

কথাটা ঠিক বোধগম্য হল না রুমির। একইভাবে তাকিয়ে রইল অর্কর দিকে। অর্ক আবার বলল, ‘সেপ্টেম্বর মাসে। হার্টের অবস্থা ভাল ছিল না তো এমনিতেই, তার ওপর অনিয়ম তো করতোই’।

এবার বোধহয় কথাটা কান পেরিয়ে মাথার স্নায়ূ অবধি পৌঁছল, সাথে সাথে অবশ হয়ে এলো সারা শরীর। এলোমেলো কিছু স্মৃতি ভিড় করে এলো ক্রমশঃ। নিঃসঙ্গ মানুষটা বড় বেশি নির্ভর করে ফেলেছিল রুমির ওপর। রুমির জীবনেও কি মানুষটার গুরুত্ব কম ছিল! পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবনে সেই মানুষটাই তো ছিল রুমির সবথেকে কাছের। অথচ, ও বাড়ি থেকে চলে আসার পর গত দু’বছরে একবারের জন্যও তো রুমি ওনার সাথে যোগাযোগ পর্যন্ত করে নি। স্বার্থপরের মত শুধু নিজের কষ্ট আর নিজের গন্ডির মধ্যেই আবদ্ধ থেকেছে। এতদিন পর একটা চাপা কষ্ট অনুভুত হল চলে যাওয়া মানুষটার জন্য। অজান্তেই চোখ ভিজে এল, ভেজা গলায় বলল রুমি, -‘একটা খবর দিলে না!’ অর্ক কিছুটা অপ্রস্তুত। -‘না,মানে আমি ঠিক বুঝতে পারি নি রুমি। তোমাকে খবর দেওয়া উচিত ছিল নিশ্চয়ই’। কোনটা উচিত, কোনটা অনুচিত, এই মুহুর্তে সেই হিসাব মেলাতে পারল না রুমি। এতদিন ধরে মানুষটাকে ভুলে থাকাটা কি উচিত ছিল রুমির! নাকি, এতদিন পরে গলার কাছে জমে থাকা কষ্টের ডেলাটা উপড়ে ফেলতে না পারাটা উচিত! সব কিছু কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। চোখ বন্ধ করে নিজেকে কিছুটা ধাতস্থ করার চেষ্টা করল রুমি। বন্ধ চোখেও অনুভব করল রুমি, অর্কর দৃষ্টি ওর শরীর ছুঁয়ে আছে। কষ্টের মধ্যেও একটা হালকা সুখানুভুতি টের পেল রুমি। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়েছে। চোখ খুলে দৃষ্টি স্থির জানলার বাইরে। সহজভাবে জিজ্ঞেস করল, -‘কবে যাচ্ছ দিল্লী?’

-‘বোধহয় মার্চ-এপ্রিল নাগাদ। এখন finalize হয়নি কিছু’
-‘আগের অফিসেই আছো?’
-‘হ্যাঁ, ওখানেই’।

টুকটাক কথাবার্তার মধ্যেই গাড়ি পৌছে গেল গলির মুখটায়। নেমে দাঁড়াল রুমি, জানলায় কিছুটা ঝুঁকে বলল –‘অনেক ধন্যবাদ, আজ ফিরতে সত্যি খুব অসুবিধা হত’।

-‘মা তোমার কথা প্রায়ই বলতেন রুমি’
-‘হ্যাঁ, উনি আমাকে খুবই স্নেহ করতেন’

কিছুক্ষনের নিঃশব্দ উপস্থিতি। রুমিই আবার বলল, -‘চলি তাহলে’

-‘হ্যাঁ, এসো’।

ফিরে দাঁড়ালো রুমি। অন্ধকার গলিপথে পা বাড়াতেই আবার পিছুটান, -‘রুমি!!’

সারা শরীর কেঁপে উঠল মুহুর্তের জন্য। এই গলার স্বরটা বড় বেশি চেনা রুমির। স্থির চোখে তাকাল রুমি, অর্ক তাকিয়ে আছে রুমির দিকে, কেমন অসহায় একটা দৃষ্টি যেন। নিজেকে সামলে নিয়ে কিছুটা জোর দিয়েই বলল রুমি, -‘ভাল থেকো’।

অন্ধকার গলিপথে মিশে যেতে যেতে বারবার পিছিয়ে পড়ছিল রুমি দু’বছর আগের ফেলে আসা সময়ের কাছে। তবু,গলিপথটা শেষ করে বাড়ির গেটের সামনে আসতেই হল, আবার প্রবেশ করতে হল বর্তমানে।

বাবাইকে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে মা। জ্বরটা আগের থেকে একটু কম। রুমি বাথরুম থেকে ঘুরে এলে একসাথে খেতে বসল দু’জনে। আজকের ঘটনাটা বলবে ভেবেও আর বলা হয়ে উঠল না। কি দরকার শুধু শুধু পুরোন কথা টেনে আনার। খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘরে এল রুমি, ছেলে ঘুমচ্ছে অঘোরে। গায়ের চাদরটা ভাল করে টেনে ঘরের আলো নিভিয়ে দিয়ে বারান্দায় এসে বসল। শীতের রাত বড় বেশি নিস্তব্ধ। পাশের বাড়ি থেকে এগারটার ঘন্টাধ্বনি কানে এলো। আবার নিঃশব্দ চারিদিক। আজকের দিনটা শেষ হতে আর একঘন্টা বাকি। কাল থেকে আবার সেই রুটিনমাফিক একঘেঁয়ে চলমানতা। টুকরো টুকরো অনেক স্মৃতি ভিড় করে আসছে ক্রমশঃ। পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবনের নানান সুখ-দুঃখ-হাসি-কান্নার অনুভুতি যেন নতুন করে স্পর্শ করে যাচ্ছে মনকে। প্রায় ভুলে যাওয়া দিনগুলি আবার ফিরে আসছে নতুনভাবে, অবাক হয়ে ভাবলো রুমি, স্মৃতিগুলোতে তো মরচে ধরে নি এতটুকুও। অথচ, গত দু’বছরে কি আপ্রাণ চেষ্টা করেছে রুমি সবকিছু ভুলে থাকার।

ভুলে তো ছিলই সবকিছু। অথচ, আজকের এই একটা দিন যেন এক লহমায় সব ভুলে যাওয়াগুলোকেই ভুলিয়ে দিল। অর্কর সাথে দেখা হওয়াটাই কি ভুল ছিল তবে! নাকি, গত দু’বছরের বেঁচে থাকাটাই ভুল! আবার সব কিছু ধোঁয়াটে হয়ে যাচ্ছে। অর্ক যদি দিল্লী চলে যায়, তবে হয়ত আর কোনদিনও দেখাই হবে না রুমির সাথে। একটা অদ্ভুত খারাপ লাগা জমাট বেঁধে আছে মনে। দু’বছর পরে হঠাৎ এই মন খারাপ তো নভেম্বরের এই অসময় বৃষ্টির মতই অপ্রত্যাশিত। অসময়ে ভুল মানুষের সাথে দেখা হওয়ারও তো প্রয়োজন ছিল না কোন। আবার দোলাচল। কোনটা অসময়! সাত বছর আগের সময়টা, নাকি আজকের দিনটা! আর, কোন মানুষটা ভুল! দু’বছর আগের চলে যাওয়া মানুষটা, নাকি আজকের নিরব অসহায়তা!!

রাত বেড়ে চলেছে, সাথে প্রকৃতির শীতলতাও। শাল গায়ে জড়িয়েও বেশ ঠান্ডা লাগছে রুমির। বারান্দার দরজা বন্ধ করে ঘরে এসে শুয়ে পড়লো বাবাই-এর পাশে। মনটা আজ বড় অস্থির। একগাদা টুকরো টুকরো স্মৃতি ভিড় করে আসছে চোখের সামনে। গত দু’টো বছরকে পিছনে ফেলে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তারও আগের পাঁচটা বছর, অথবা, আরও অনেক অনেক আগের সেই কলেজ জীবনের দিনগুলো, অর্কর সাথে প্রথম আলাপের দিনটা, বা, প্রথম আত্মসমর্পন! কোন স্মৃতিই যে অমলিন হয়নি এতটুকু। কাগজের একটা সই কি সত্যিই বদলে দিতে পারে একটা গোটা সম্পর্ক, অথবা, দুটো মানুষের সম্পর্কের টানাপোড়েনকে!! অবাক হয়ে দেখল রুমি, ঠিক ভুলের সমস্ত হিসেব তছনছ করে দিয়ে তার চোখের সামনে একমাত্র সত্য হয়ে রয়েছে আজকের সেই অসহায় দৃষ্টিটাই। সেই চোখদুটো যেন এই মুহুর্তেও ছুঁয়ে আছে তার শরীরকে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
বিদিশা চট্টপাধ্যায় দারুন লিখেছেন। আপনার লেখার মুনশিয়ানা দেখে থমকে গেলাম। অনেক সুভেচ্ছা রইল।
এফ, আই , জুয়েল # কোনটা ভুল---কোনটা ভালো----কি করে বোঝা যাবে ?----এর একটা সুন্দর ইঙ্গিত এই লেখায় ফুটে উঠেছে । = = গল্পের প্লটটা বেশ ভাল । চলার পথে আর একটু চমক সৃষ্টি করতে পারলে ভালো হতো । সবকিছু মিলে অনেক সুন্দর । ধন্যবাদ ।।
মিলন বনিক জীবনের একটা কষ্টকে অপূর্ব মাধুরীতে স্বকীয় মহিমায় পাঠকের সামনে তুলে ধরকে পেরেছেন....খুব ভালো লাগল...শুভকামনা....
তানি হক খুব ভালো লাগলো আপু গল্পটি ... যেন চোখের সামনে ঘটে যাওয়া একটি জীবন্ত নাটক দেখলাম ... জীবনের কিছু দুঃখ কিছু চাওয়া ... খুব সুন্দর করে ফুটে উঠেছে ... আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই
নাজনীন পলি অনেক ভাল লাগলো আপু , শুভেচ্ছা ।
মোঃ আক্তারুজ্জামান তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললাম ভাই- সার্থক লেখা। অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।
সূর্য জীবন, দু:খ, কষ্ট, দিন, রাত সবকিছুই অনেকে লিখে ফেলতে পারে, তবে সে লেখায় জীবন/প্রাণ দিতে সবাই পারে না। এ গল্পে প্রাণ ছিল পুরোটুকু। লেখককে অনেক ভালো লেগে গেলো যে!.......................... এতে কিন্তু লেখকের দায় অনেক অনেক বাড়লো।
মোজাম্মেল কবির কানায় কানায় পরিপূর্ণ একটি লেখা...

২৩ এপ্রিল - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ১৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪